Yamaha MT 15 Price In Bangladesh

বাইক নয় যেন এক জীবন্ত চিতাবাঘ, হ্যাঁ আমি Yamaha MT 15 বাইকের কথায় বলছি। বাইকটির সামনে থেকে এর হেডলাইটের স্টাইল এবং পজিশন দেখলে মনে হবে যেন এক জীবন্ত চিতাবাঘ জ্বল জ্বল করে তাকিয়ে আছে। আজ আমি Yamaha MT 15 ‍Specification এবং Yamaha MT 15 Price In Bangladesh নিয়ে আলোচনা করবো।

Yamaha MT 15 V2
Yamaha MT 15 V2

Yamaha শুধু বাংলাদেশের বাজারেই না বিশ্ব বাজারে ও একটি নামকরা ব্রান্ড। আমরা যখনিই কোনো বাইক কেনার কথা ভাবি তখনি বাইকের কোয়ালিটি কোনটার ভালো হবে তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ি। আর ভালো ব্রান্ডগুলো আমাদের এই দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দেয়।

আমাদের যদি বাইক সম্পর্কে ভালো ধারণে নাও থাকে, আমরা চোখ বন্ধ করে Yamaha বা অন্য কোনো ভালো ব্রান্ডের বাইক নিতে পারি কারণ ভালো ব্রান্ড তাদের প্রডাক্টের বিল্ডকোয়ালিটিতে কখনো কম্প্রোমাইজ করে না।

Yamaha MT 15 Price In Bangladesh

Yamaha MT 15 V-2 এর টোটাল ৮ টি কালার ভেরিয়েন্ট থাকলেও বাংলাদেশের বাজারে সবসময় সকল ভেরিয়েন্ট পাওয়া যায় না তাই বাইক কেনার আগে কয়েকটি শোরুমে খোঁজ নিবেন তাদের কাছে কোন কোন কালারের বাইক আছে। তাছাড়া বাইকের দাম ও প্রতিনিয়ত ওঠানামা করে তাই আমি একটি আনুমানিক দাম আপনাদের জানাচ্ছি তবে আপনারা বাইক কেনার আগে অবশ্যই বাজার যাচাই করবেন।

ColorPrice
Dark Matte BlueBDT – 445,000
Metallic BlackBDT – 445,000
Cyan Storm DlxBDT – 445,000
Cyber Green DlxBDT – 445,000
Ice Fluo-Vermillion DlxBDT – 445,000
Metallic Black DlxBDT – 445,000
Racing Blue DlxBDT – 445,000
Monster Energy Yamaha MotoGp EditionBDT – 445,000
Yamaha MT 15 V2 RACING BLUE DLX
Yamaha MT 15 V2 RACING BLUE DLX
Yamaha MT 15 V2 Monster Energy
Yamaha MT 15 V2 Monster Energy
Yamaha MT 15 V2 METALLIC BLACK
Yamaha MT 15 V2 METALLIC BLACK
Yamaha MT 15 V2 METALLIC BLACK DLX
Yamaha MT 15 V2 METALLIC BLACK DLX
Yamaha MT 15 V2 ICE FLUO-VERMILLION DLX
Yamaha MT 15 V2 ICE FLUO-VERMILLION DLX
Yamaha MT 15 V2 DARK MATTE BLUE
Yamaha MT 15 V2 DARK MATTE BLUE
Yamaha MT 15 V2 CYBER GREEN DLX
Yamaha MT 15 V2 CYBER GREEN DLX
Yamaha MT 15 V2 CYAN STORM DLX
Yamaha MT 15 V2 CYAN STORM DLX

Yamaha MT 15 Specifications

Yamaha MT 15 বাইকটির ভার্সন ১ এর থেকে ভার্সন ২ তে এক্সট্রা কিছু ফিচার দেওয়া হয়েছে যা বাইকটিকে রাইডারদের কাছে আরো বেশি আকর্ষণীয় করে তুলেছে। MT 15 একটি ন্যাকেট কোয়ালিটির বাইক যা দেখতে খুবই অ্যাগ্রিসিভ। এই অ্যাগ্রিসিভ লুক আর মন মাতানো সব ফিচার্স বাংলাদেশের তরুণ বাইকারদের মন কেড়েছে। নিচে বাইকটির Specifications ছকের মাধ্যমে বর্ণনা করা হয়েছে।

MT 15 একটি ন্যকেট বাইক যদি আপনি ন্যকেট বাইক পছন্দ না করেন এবং মাসকিউলার বডির বাইক বেশি পছন্দ কনের তাহলে আপনি Yamaha R15 V4 বাইকটি দেখতে পারেন। Yamaha R15 V4 বাইকটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন

Basic Features

Engine155 cc
Mileage48 km/L
Braking SystemDual Channel ABS
Transmission6 Speed Manual Gear
Fuel Tank Capacity10 Liters
Basic Features

Engine, Mileage, Top Speed

Engine155 cc
Engine TypeLiquid-cooled, 4-valve, Single Cylinder
Fuel SupplyElectric Fuel Injector (EFI)
Max Power18.1 bhp @ 10000 rpm
Max Torque14.1 Nm @ 7500 rpm
Mileage48 km/L
Top Speed130 km/H
Transmission6 Speed Manual Gear
Gear Shifting Pattern1 Down 5 Up
Cooling SystemLiquid Cooled
Engine Oil Capacity1.05 Liter
Engine Oil Grade10W 40
Fuel TypePetrol
Fuel Tank Capacity10 Litres
Reserve Fuel Capacity1.6 Litres
Emission standardBS6 Phase 2
Engine, Mileage, Top Speed

Dimensions & Chassis

Weight141 KG
Seat Height810 mm
Ground Clearance170 mm
Length2015 mm
Width800 mm
ChassisDeltabox
Dimensions & Chassis

Brakes, Wheels and Suspensions

Front SuspensionTelescopic Upside Down Fork (USD Fork)
Rear SuspensionLinked-Type Monocross Suspension
Braking SystemDual Channel ABS
Front Brake TypeDisc
Rear Brake Type Disc
Front Brake Size282 mm
Rear Brake Size220 mm
Caliper Front2 Piston
Caliper Rear1 Piston
Wheel TypeAlloy
Front Wheel Size17 inch
Rear Wheel Size17 inch
Front Tire Size100/80 – 17
Rear Tire Size140/70 – R17
Tyre Type Tubeless
Breaks, Wheels and Suspensions

Other Features

Traction ControlYes
Quick ShifterNo
Call/SMS AlertsYes
Instrument ConsoleDigital
SpeedometerDigital
OdometerDigital
Fuel GaugeDigital
Hazard Warning IndicatorYes
No. Of Tripmeters2
Tripmeter TypeDigital
Gear IndicatorYes
Fuel IndicatorYes
Low Engine Oil IndicatorYes
ClockYes
Service Reminder IndicatorNo
Battery 12V, 4.0Ah
Head LightLED
Tail LightLED
Turn SignalLED
USB Charging PortYes
BluetoothYes
Start TypeElectric Start
Other Features

Yamaha MT 15 V2 Engine

এই বাইকটিতে ব্যবহৃত প্লাস্টিক ম্যাটেরিয়াল গুলো নিয়ে ইউজারদের কিছু অভিযোগ থাকলেও বাইকটির ইঞ্জিনের পারফরমেন্স বাইকারদের মন ভুলিয়ে দিয়েছে। এটির টর্ক ও পাওয়ারের কারণে ছোট খাট ত্রুটিগুলো চোখে পড়ে না।

MT 15 ১০০০ ( আর পি এম ) এ ১৮.০১ ( বি এইস পি ) পাওয়ার উৎপাদন করতে পারে এবং ৭৫০০ ( আর পি এম ) এ ১৪.১ নিউটন মিটার টর্ক উৎপাদন করতে সক্ষম। এটিতে টর্ক ও পাওয়ার বেশি থাকার কারণে কুইক থ্রটল পাবেন যা আপনাকে হাইওয়েতে ওভারটেকিং এর সময় কনফিডেন্স দিবে।

আপনারা যারা বাইক নিয়ে লং ট্যুরে যান, তারা হয়ত একটা জিনিস খেয়াল করে থাকবেন, যদি আপনার বাইক এয়ার কুল সিস্টেমের হয়ে থাকে তাহলে কিছুক্ষণ রাইড করার পর ইঞ্জিন গরম হয়ে পাওয়ার লস করে। এই কারণে বাইকারদের একটু পর পর বিশ্রাম নিতে হয় এবং বাইক বন্ধ করে ইঞ্জিন ঠান্ডা করে নিতে হয়।

আপনি যদি MT 15 বাইকটি কিনেন তাহলে এই ইঞ্জিন হিট হওয়ার সমস্যা থেকে আপনি মুক্তি পাবেন কারণ এটিতে ব্যবহার করা হয়েছে লিকুয়িড কুল ইঞ্জিন। যদিও লিকুয়িড কুল ইঞ্জিনে খরচ একটু বেশি হয় তার পরও এটি আপনাকে একটি চিন্তামুক্ত একটানা রাইড উপহার দিতে সক্ষম হবে।

MT 15 বাইকে ৬ স্পিড ম্যানুয়েল গিয়ার বক্স ব্যবহার করা হয়েছে। বাইকটির গিয়ার সিফটিং খুবই স্মুথ। শুধু MT 15 বাইকে নয় ইয়ামাহার সকল বাইকের গিয়ার সিফটিংই খুবই ভালোমানের এবং স্মুথ। বাইকটির প্রথম গিয়ারটি নিচে এবং বাকি গিয়ারগুলো উপরে।

এই বাইকের ইঞ্জিন এর ধারণ ক্ষমতা ১.০৫ লিটার। কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে প্রতি ৩০০০ কিলোমিটার পর ইঞ্জিন ওয়েল পরিবর্তন করা উচিত। তবে কিছু অভিজ্ঞ রাইডার আমাদের জানিয়েছে ৩০০০ কিলোমিটার ৫০০০ কিলোমিটার এর মধ্যে ইঞ্জিন ওয়েল পরিবর্তন করলেও বাইকরে কোনো ক্ষতি হবে না। কোম্পানি বাইকটিতে 10W 40 গ্রেডের ইঞ্জিন ওয়েল ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছে।

Yamaha MT 15 Mileage

১৫৫ সিসির বাইক হিসেবে বাইকটি যথেষ্ট ভালো মাইলেজ দেয়। এটি প্রতি লিটার পেট্রোলে ৫৮ কিলোমিটার মাইলেজ দেয়। আপনি যদি হাইওয়েতে রাইড করেন তাহলে ৬০ কিলোমিটার মাইলেজ পেতে পারেন আর যদি সিটিতে রাইড করেন তাহলে তাহলে ৫৫ কিলোটার প্রতি লিটার মাইলেজ পাবেন।

বাইকটির ফুয়েল ট্যাংকের ফুয়েল ধারণ ক্ষমতা ১০ লিটার। প্রতি লিটার পেট্রোলে যদি বাইকটি ৫৮ কিলোমিটার চলতে পারে তাহলে একবার বাইকটির ফুয়েল ট্যাংক ফুল লোড করলে ৫০০ কিলোমিটার রাইড করতে পারবেন। বাইকটির রিজার্ভ ফুয়েল ক্যাপাসিটি ১.৬ লিটার। রিজার্ভ ফুয়েল মূলত রাখা হয় বিপদের সময় ব্যবহারের জন্য। মাঝ রাস্তায় বাইকের ফুয়েল শেষ হয়ে গেলে যেন গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে।

এই সেগমেন্টের অন্যান্য বাইক যেখানে প্রতি লিটারে ৫০ কিলোমিটার মাইলেজ দিতেই হিমশিম খায় সেখানে MT 15 এর মতো বাইক ৫৮ কিলোমিটার মাইলেজ দিচ্ছে যা রাইডারদের কাছে স্বপ্নের মতো।

ইয়ামাহা MT 15 Dimensions & Chassis

MT 15 একটি ন্যকেট স্পোর্টস বাইক এবং এর টোটাল বডিওয়েট ১৪১ কে.জি। বাইকটির পারফেক্ট ওয়েট ডিসট্রিবিউশনের জন্য রাইড করার সময় আপনি বুঝতে পারবেন না এত বেশি ওজনের একটি বাইক আপনি রাইড করছেন।

বাংলাদেশী মানুষের উচ্চতা যেহেতু অন্যান্য দেশের মানুষের তুলনায় কম তাই বাংলাদেশী অনেক রাইডাররা বাইকের সিট হাইট নিয়ে চিন্তিত থাকেন। ইয়ামাহা শর্ট হাইটের রাইডারদের কথা মাথায় রেখেয় MT 15 এর সিট হাইট অনেকটাই কম রেখেছে। MT 15 এর সিট হাইট ৮১০ মিলিমিটার।

আপনি যদি হায়ার সিসির বাইক পছন্দ করেন তাহয়ে রয়েল এনফিল্ডের বাইক গুলো দেখতে পারেন। রয়েল এনফিল্ড বাইকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয় বাইকটি হলো Royal Enfield Classic 350। এই বাইকটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন

বাংলাদেশের বাজারে হায়ার সিসির বাইক আসলেও বাংলাদেশে অনেক রাস্তার অবস্থা এখনো ভালো হচ্ছে না। বাংলাদেশে এখনো অনেক ভাঙ্গা ও উঁচু স্পিড ব্রেকার সমৃদ্ধ রাস্তা রয়েছে সেসব রাস্তায় কম গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স এর বাইক রাইড করলে বাইকের নিচে ঘসা খেয়ে বাইক নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এসই বিষয় বিবেচনায় রেখেই MT 15 বাইকে ১৭০ মিলিমিটার গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স রাখা হয়েছে।

দানবীয় এই বাইকটি ২০১৫ মিলিমিটার লম্বা আর ৮০০ মিলিমিটার চওড়া। এই বাইকের ডিজাইন কপি করে অন্যান্য কোম্পানি বাইক তৈরির চেষ্টা করলেও হুবহু এর মতো করতে পারেনি।

Yamaha MT 15 Wheels

MT 15 বাইকটিতে ১৭ Inch Alloy চাকা ব্যবহার করা হয়েছে। এটির সামনের চাকায় ১০০/৮০ -১৭ সেকশনের টায়ার ব্যবহার করা হয়েছে এবং পিছনের চাকায় ১৪০/৭০ – R১৭ সেকশনের টায়ার ব্যবহার করা হয়েছে। বাইকটির সামনের ও পিছনের চাকা দুটিই টিউবলেস টায়ার।

বাইকের চাকা মোটা হলে টায়ারের গ্রিপ ভালো থাকে যা ব্রেকিং এর ক্ষেত্রে সুবিধা দেয়। টায়ারগুলো টিউবলেস হওয়ার কারণে অল্পতেই চাকা লিক হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে না।

Yamaha MT 15 V2 Brakes

বাইকটিতে যতটা সম্ভব আধুনিক ফিচার দেয়া হয়েছে। এটিতে পেয়ে যাবেন ডুয়েল চ্যানেল এ বি এস। বাইকটির সামনে ও পিছনে ডিস্ক ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে। সামনের ডিস্কের সাইজ ১৮২ মিলিমিটার আর পিছনের ডিস্কের সাইজ ২২০ মিলিমিটার। সামনের ব্রেকে ২ পিস্টনের ক্যালিপার ব্যবহার করা হয়েছে আর পিছনের ব্রেকে ১ টি পিস্টনের ক্যালিপার ব্যবহার করা হয়েছে।

বাইকটিতে ডুয়েল চ্যানেল এ বি এস থাকার কারণে বাইকটির ব্রেকিং খুবই ভালো। তাছাড়া বাইকটিতে ট্রাকশন কন্ট্রোল থাকার কারণে হঠাৎ বাইক স্পিডআপ করলে চাকা পিছলে পড়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।

Yamaha MT 15 V2 Suspensions

বাইকটির সামনে Telescopic Upside Down Fork (USD Fork) রয়েছে। এ Upside Down সাসপেনশনের কারকে হায় স্পিডেও আপনি বাইকের হ্যান্ডেলবারে বা আপনার হতে কোনো ধরনের ঝাঁকি অনুভব করবেন না। এটির পিছনে ব্যবহার করা হয়েছে Linked-Type Monocross Suspension।

ব্যবহারকারীরা বলছে বাইকটির আগের ভার্সনের পিছনের সাসপেনশনটা ভালো ছিলোনা। পিছনের পিলিয়ন খুব ভালোভাবেই ঝাঁকি অনুভব করতে পারত। তবে নতুন V2 ভার্সনের সাসপেনশন খুবই ভালোমানের।

Yamaha MT 15 V2 Features

বাইকটিতে কোনো কিছুই এ্যনালগ নাই সবকিছুই ডিজিটাল। ড্যাশবোর্ড রয়েছে ডিজিটাল স্পিডোমিটার, ওডোমিটার, ফুয়েল ইন্ডিকেটর ও ডিয়ার ইন্ডিকেটর। এটির হেডলাইটে পেয়ে যাবেন একটি এল ই ডি হেডলাইট তাছাড়া এটির টেইল লাইট এবং সাইড ইন্ডিকেটরে ও এল ই ডি লাইট ব্যবহার করা হয়েছে।

বাইকটিতে রয়েছে ট্রাকশন কন্ট্রোলার যা সচরাচর বাংলাদেশের অন্য বাইকগুলোতে দেখা যায় না। এটিতে পেয়ে যাবেন একটি USB পোর্ট যা ব্যবহার করে আপনি আপনার সখের মোবাইল ফোনটি চার্য করতে পারবেন। তাছাড়া আপনি চাইলে আপনার স্মার্ট ফোনটিকে bluetooth এর মাধ্যমে আপনার বাইকের সাথে কানেক্ট করতে পারবেন এবং ফোনে আসা সকল নোটিফিকেশন আপনির বাইকের ড্যসবোর্ডে দেখতে পারবেন।

Yamaha MT 15 V2 বাইকটি সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে Yamaha এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে পারেন। Yamaha এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে এখানে ক্লিক করুন

Leave a Comment

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial